ওয়াশিংটনে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাইলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে পারেন তবে, শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদান করতে পারবে না।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
আলাস্কায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ সম্মেলনের পর এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এই সম্মেলনে যুদ্ধবিরতির দাবি প্রত্যাখ্যান করে স্থায়ী শান্তি চুক্তির আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বরাতে জানা গেছে, ন্যাটো-সদৃশ এই নিরাপত্তা চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন পুতিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরাবরই ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে বিরোধিতা করে আসছেন।
ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে জেলেনস্কির সঙ্গে সোমবার (১৮ আগস্ট) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে জেলেনস্কির সঙ্গে যোগ দেবেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারসহ ইউরোপীয় নেতারা।
এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফিনিশ রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার স্টাব এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন। তবে, তাদের মধ্যে কতজন হোয়াইট হাউসে যাবেন তা স্পষ্ট নয়।
এই বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আগামীকাল হোয়াইট হাউসে বড় দিন। একসঙ্গে এতো ইউরোপীয় নেতা আগে কখনো এক হইনি। তাদের আতিথেয়তা করতে পারব ভেবে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’
এদিকে, জেলেনস্কি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন যে, তিনি ট্রাম্পের আমন্ত্রণের জন্য ‘কৃতজ্ঞ’। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সকলেই দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্যভাবে এই যুদ্ধ শেষ করার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করি।’
গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে আসার আগে ন্যাটোতে সদস্যপদ লাভের জন্য সম্মত হয়েছিল কিয়েভ।
হোয়াইট হাউসে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আট বছর আগে ২০১৪ সালে অবৈধভাবে সংযুক্ত ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ আর কোনোভাবে ফিরে পাওয়া যাবে না।