ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মনোনয়ন নেওয়ার পর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার। এ ঘটনায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) মধ্য রাতে দেওয়া পোস্টে মাহিন লিখেছেন, “সবসময় বিশ্বাস করি বিজয় আসমান থেকেই আসে, জমিনে তার প্রতিফলন হয় মাত্র।”
গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে পরিচিত মাহিন তার স্ট্যাটাসে আরও বলেন, “মাহিন সরকারের তার অনাগত সন্তানের কাছে বলার মতো গল্প আছে। মাহিন সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে তার রক্ত দিয়ে রাঙিয়েছে। গানপয়েন্টে ছয়জন সমন্বয়কের কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর মাহিন সরকার বলেছিলো—‘মানি না’। পরে তিনিসহ চারজন সমন্বয়কই বাকি সমন্বয়কদের বৈধতা দিয়েছিলেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মাহিনের ভাষায়, “পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে আমি ন্যায়বিচারের দাবিতে মাঠে নেমেছিলাম, পাশে কেউ আসেনি। আজকে কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই বহিষ্কার করা হলো। অথচ গুরুতর আর্থিক অনিয়ম কিংবা চারিত্রিক স্খলনের মতো অভিযোগ থাকলেও সংগঠনগুলোতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। আমি সে সুযোগও পাইনি। এটি সামগ্রিকভাবে নবগঠিত রাজনৈতিক দলের জন্য ক্ষতিকর।”
এদিকে এনসিপির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে মাহিন সরকারকে তার পদ ও দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, মাহিন সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে ভূমিকা রাখেন তিনি। পরে আন্দোলনের নির্বাহী কমিটিতেও পদ পান। সেখান থেকে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।