রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা তথা পোষ্য কোটা বহাল রাখা ও বৈষম্য দূরীকরণসহ আট দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও আবাসিক হলের আফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে এ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
তাদের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো-
- ভর্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহাল,
- ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ,
- শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা সমাধান,
- পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন,
- শিক্ষকদের জন্য ব্যক্তিগত চেম্বার বরাদ্দ ও গবেষণার জন্য অর্থ বৃদ্ধি,
- সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা,
- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাফতরিক পরিবেশ উন্নয়ন এবং
- দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা নিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আজ কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য। এ লক্ষ্যে আমরা নয় দফা দাবি উপস্থাপন করেছি। আমরা আশা করি প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে। যদি প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো না মেনে নেয়, তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা সম্মিলিতভাবে এই কর্মসূচি আরও কঠোর করবে। প্রয়োজনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ অচল করে দেব। আমাদের কর্মসূচি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে।’
অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আজকের ধর্মঘট আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন। বহু বছর ধরে পাওয়া প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকার। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কেউ যদি মনে করে আমাদের ন্যায্য অধিকার হরণ করা যাবে, তবে তাদের ধারণা ভুল। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দ্রুত ফিরিয়ে দিতে হবে, নইলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।’