ঢাকা: জার্মানির উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড ও সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া কর্তৃক আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কিং গ্রুপ মিটিং এ বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) অংশ নিয়েছে।বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সোমবার ( ১৮ আগষ্ট) ঢাকায় সিক্স সিজন হোটেলে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকে বিজিএমইএ এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান এবং পরিচালক শেখ হোসেন মুহাম্মদ মুস্তাফিজ। সহ-সভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান বাংলাদেশের পোশাক খাতের টেকসই ভবিষ্যৎ নিয়ে মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।
অন্যদিকে, পরিচালক শেখ হোসেন মুহাম্মদ মুস্তাফিজ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিজিএমইএ এর বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।
বৈঠকে পোশাক কারখানার প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, দাতা সংস্থা এবং পরিষেবা প্রদানকারীরা একত্রিত হয়ে জলবায়ু সংক্রান্ত একটি সাধারণ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে কাজ করেন। আলোচনায় উঠে আসে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, অর্থায়ন প্রক্রিয়া সহজ করা এবং সকলের সম্মিলিত দায়িত্বশীলতা অত্যন্ত জরুরি।
বিজিএমইএ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পোশাক শিল্পে জ্বালানি সাশ্রয়ী কার্যক্রম, নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রহণ, সার্কুলারিটি প্রকল্পসমূহ এবং ইএসজি ডেটা প্ল্যাটফর্ম তৈরিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ চলমান রয়েছে, যা একটি সবুজ ও অধিক সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়তে আমাদের শিল্পের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।
একইসঙ্গে, অংশগ্রহণকারীরা জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে কেবল ক্রেতা হিসেবে নয়, বরং প্রকৃত অংশীদার হিসেবে টেকসই উদ্যোগে বিনিয়োগ এবং প্রণোদনা দিতে হবে।
দলীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে অংশীজনরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ যেমন– নীতিমালার ঘাটতি এবং অর্থায়নের সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করেন। একইসঙ্গে, তারা সমন্বিত জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের প্রসারের জন্য কার্যকর সমাধান নিয়েও আলোচনা করেন।
এই বৈঠকটি পুনরায় প্রমাণ করে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা অপরিহার্য। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বজুড়ে টেকসই উৎপাদনের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।