বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান মোড়লকে এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং মাদক ও জুয়ার ব্যবসায় সম্পৃক্ত মতিয়ার রহমান মোড়ল মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এনসিপির নতুন কমিটিতে যোগ দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলে এ ঘটনাকে আওয়ামী লীগকে ‘পুনর্বাসন’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মতিয়ার রহমান মোড়ল বর্তমানে চাঁদপাই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। কয়েক দশক ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এমরান হোসেন বলেন, ‘মতিয়ার রহমান মোড়ল একজন আওয়ামী লীগ নেতা। তাকে এনসিপিতে পদ দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।’
বিএনপির স্থানীয় অপর এক নেতা সফিকুল ইসলাম শান্ত বলেন, ‘আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কোহিনূর সরদার বলেন, ‘যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে সেটি কোনোভাবেই যুক্তি সম্মত নয়।’
আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল হাওলাদার বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
পৌর যুবদল নেতা বিএম ওয়াসিম আরমান বলেন, ‘শুনেছি লাখ টাকার বিনিময়ে এনসিপিতে পদ নিয়েছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
সদ্যপদ পাওয়া মতিয়ার রহমান মোড়ল বলেন, ‘আমি এনসিপির কোন কমিটিতে নেই, এ কথা বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।’
এনসিপির মোংলা উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মৃধা মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদপাই ইউনিয়নের কমিটি এখনও গঠন করা হয়নি। ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কোনো আওয়ামী লীগ নেতারা এনসিপির কমিটিতে থাকতে পারবেন না।’
এবিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্লা রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘এনসিপিতে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা থাকার সুযোগ নেই। পরিচয় গোপন করে কেউ ঢুকলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।’