ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের মাসকান্দা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ভেতর দুর্বৃত্তদের হামলায় ইউনাইটেড পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটসহ ছয় জেলায় বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবহন শ্রমিকরা জানায়, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে নগরীর মাসকান্দা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ইউনাইটেড পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। সড়কে বাস চলাচল অনিরাপদ থাকায় এই রুটে বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ময়মনসিংহের কৃষক দলের এক নেতার নির্দেশে মাসকান্দা টার্মিনালে ইউনাইটেড কাউন্টার ব্যাপক ভাঙচুর নগদ অর্থ লুটপাট করে। ওই নেতা বিভিন্ন মালিকদের থেকে টাকা নিয়ে জোরপূর্বক প্রায় সময় গাড়ি প্রবেশ করান। এতে সাধারণ মালিক শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এছাড়া ওই নেতা গাড়ি ছাড়াও তার নামের পনেরো বিশটি গাড়ি চলছে, যা থেকে প্রতিদিন লাখ টাকার ভাগ পান তিনি।
ময়মনসিংহ জিলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম জানান, গত বছরের নভেম্বরে মোটর মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য শরাফ উদ্দিন কোহিনূর। একই কমিটিতে আব্দুর রব আকন্দ রতনকে মহাসচিব পদে নির্বাচিত করে ৭৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে আলমগীর মাহমদু আলমকে সভাপতি করে কমিটির দেওয়া হয়। এতেই বাদে বিপত্তি।
তিনি আরো জানান, সমিতির বর্তমান কমিটিকে মানতে না পেরে আগের কমিটি আদালতে মামলা করেছে। তাদের ইশারায় এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে পারে। হামলাকারীরা কাউন্টারের ল্যাপটপ ও টাকা নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সড়কে বাস চলাচল করলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। সড়কে বাস চললে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় বাস মালিকরা ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৬ জেলার বাস বন্ধ রেখেছে।
ময়মনসিংহ জিলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী বলেন, ভাঙচুরের ঘটনায় ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, বাস চলাচল কবে থেকে স্বাভাবিক হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এদিকে হঠাৎ বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। দূরপাল্লার অনেক বাস টার্মিনালে আটকা পড়ে আছে। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।