ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ চারজনের ফাঁসি চেয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।
বুধবার (২০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এ বিচার চান তিনি।
ফাঁসি চাওয়া অন্যরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।
জবানবন্দিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসা দেওয়ায় ডিবি পুলিশের হুমকি পেয়েছেন বলেও তুলে ধরেন ডা. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ আহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ডিবির লোকেরা আমাদের হাসপাতালে আসেন। ওই সময় নতুন গুলিবিদ্ধদের যেন ভর্তি না করার জন্য তারা চাপ দেন।
ডিবি পুলিশের সদস্যরা এই সাক্ষীকে বলেন, ‘অতি উৎসাহী হবেন না। আপনি বিপদে পড়বেন। যাদের ভর্তি করেছেন, তাদের রিলিজ দেবেন না। এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিন সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ১৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে হিসেবে এই চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এ ছাড়া একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীনও সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ মামলার ১৪ সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন।