যশোর: জেলার ১১৮টি কলেজের ৯ হাজার ১৭০ সিটে কতজন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে সিট পেয়েছে আর কতটা খালি রয়েছে এই তথ্য জানাতে পারেনি যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এমনকি বোর্ডের আওতায় ১০ জেলায় ৫৯০টি কলেজের ২ লাখ ১৯ হাজার ২৬৯টি আসনের কতটি পূরণ হলো তাও জানাতে পারেনি তারা। তবে সূত্রের দাবি, সোয়া লাখের বেশি আসন ফাঁকা রেখেই শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠদান।
যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ১০ জুলাই এসএসসি পরীক্ষায় প্রকাশিত ফল অনুযাায়ী বার্ডে পাস করে ১লাখ ২হাজার ৩১৯ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে জিপিএ-৫(এ প্লাস) পায় ১৫ হাজার ৪১০ জন পরীক্ষার্থী। পরে ১০ আগস্টে পুনঃনিরীক্ষার ফলাফলে ২৭১ এ প্লাসসহ আরও ৬৭০ জন পাস করে। সব মিলিয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় এক লাখ ৩ হাজার শিক্ষার্থী পাস করেছে।
উল্লেখ্য, এবার কেন্দ্রীয়ভাবে আবেদনের মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিকে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করার বিধান ছিল। সেই হিসেবে সব শিক্ষার্থী আবেদন করে। ২০ আগস্ট ছিল কলেজে আসন বরাদ্দের চূড়ান্ত দিন। আবেদনকারীদের জন্য কলেজ নির্বাচনের শেষ দিনও। সে হিসেবে আবেদনকারী সকল শিক্ষার্থীর আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত হোক বা না হোক, কলেজ তো পেয়েছে আবেদনকারীরা।
তবে যশোর শিক্ষাবোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে জানান, সারাদেশে কলেজে ভর্তি হওয়ার আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৬২টি। এর মধ্যে যশোর বোর্ডের কলেজগুলোর জন্যে ৮৯ হাজার ৩৩০টি আবেদন জমা হয়। তবে ভর্তির যোগ্য হয়েছে ৮৮ হাজার ২৮২ জন। এদের মধ্যে ছাত্রী ৪৭ হাজার ৫৯৬ জন এবং ছাত্র ৩৯ হাজার ৪৭৩ জন। তিনি আরও জানান, একটি কলেজে ভর্তির জন্যে কেউ আবেদন করেনি। কলেজ উপপরিদর্শকের দেওয়া তথ্য মতে প্রায়, একলাখ ৩২ হাজার সিট খালি রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর এস এম তৌহিদুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ বছর কলেজে ভর্তির জন্য সব বোর্ডের আবেদনপত্র জমা এবং কলেজ বণ্টনের কাজ করেছে বুয়েট। তাদের কাছে মোট আবেদন ও ভর্তির জন্য নির্বাচিতদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে কতটি আবেদন জমা হয়, কতটি সিট বরাদ্দ হয়; এর মধ্যে কতজন ছাত্র, কতজন ছাত্রী এবং খালি আসন কতগুলো- এসব তথ্যের জন্য বলা হলেও বুয়েট বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সে তথ্য সরবরাহ করেনি। ফলে পূর্ণাঙ্গভাবে এ হিসাব এখনো বোর্ডের কাছে নেই।’
তবে তিনি জানান, যশোর জেলায় ১১৮টি কলেজে ৩ শাখায় ৯ হাজার ১৭০টি আসন আছে। তার সব হয়তো পূরণ হবে না।