ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হঠাৎ করে অযৌক্তিকভাবে পিআর পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নয়। জনগণকে অগ্রাহ্য করে এই পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়া হলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে রিজভী এসব কথা বলেন।
দোয়া মাহফিলে অংশ নেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস ও মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ অন্যান্য নেতারা। বিএনপির জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভ ধ্বংস করে গেছেন। তার রেখে যাওয়া দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করতে ওৎপেতে আছে। মেগা প্রজেক্টের নামে ৬৮ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি অডিট হওয়া জরুরি।‘
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের নিখোঁজ হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত এ সরকারের শাসনামলে আমরা কেউ গুম হবো না, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হবো না।’
রিজভী বলেন, ‘আমরা পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের মতো আর গুমের শিকার হতে চাই না। আগের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। অনেক ক্লান্তিকাল অতিক্রম করে আজ একটি স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যেসব অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে, তা সমাপ্ত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের নিখোঁজে জড়িত নয়। এই ঘটনায় অন্য কোনো রহস্য আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে। পাশাপাশি এতে কোনো আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত কিনা, সেটিও সরকারকে উদঘাটন করতে হবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ। এ সময় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।