খুলনা: পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ‘জুডিশিয়াল কিলিং’-এর মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে খুলনার সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার মিলনায়তনে আয়োজিত আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
শামীম সাঈদী বলেন, ‘আল্লামা সাঈদীকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ ১৩ বছর কারাগারে আটকে রেখে অবহেলার মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। জীবদ্দশায় তাঁকে বিচারের নামে অবিচারের শিকার করা হয়েছে, মৃত্যুর পর লাশের সাথেও অমানবিক আচরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জীবনের শেষ মুহূর্তে চিকিৎসা নিয়েও জাতির মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত হওয়া উচিত।’
শামীম সাঈদী আল্লামা সাঈদীর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি দুইবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং মুসলিম-অমুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই জনপ্রিয় ছিলেন।’
সিদ্দিকীয়া জামেয়া-ই-মাদানিয়া ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এস এম আজিজুর রহমান সভাপতিত্বে ও মাদরাসার আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য দেন মাদরাসা গভর্নিং বডির সদস্য আনিসুর রহমান আরজু। অন্যান্যের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন মহিলা শাখার উপাধ্যক্ষ শাকিলা উম্মে নূর, সিদ্দিকীয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম, সহকারী মৌলভী জি এম আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক ছাত্র আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক গল্লমারী শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান, মাসুম বিল্লাহ মিরাজ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম, ওহিদুজ্জামান মিথুন, মুহাদ্দিস আনোয়ার হোসেন, মুহাদ্দিস শহীদুল ইসলাম, মুফাসসির মোশাররফ হোসেন, মুফাসসির জুলফিকার আলী, সহকারী অধ্যাপক মো. আলফিদা হোসেন, মো. তায়সুর রহমান, ওমর ফারুক, রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।