ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ভোটার তালিকায় থাকা নারী শিক্ষার্থীদের ছবি বাদ দেওয়াসহ ব্যক্তিগত তথ্য সীমিত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর পক্ষে রিটটি করেন আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। শিক্ষার্থীরা হলেন– আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রেদোয়ান মণ্ডল রিফাত, ক্রিমিনিলোজির শিক্ষার্থী ফাতিমা তাসনিম ঝুমা ও বোটানি বিভাগের সাবিকুন্নাহার তামান্না।
রিটে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য গঠিত প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে। এ নিয়ে আগামী ৩১ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
আইনজীবী ফয়েজ বলেন, অনলাইনে ছবি দিয়ে অনেক নারী শিক্ষার্থী বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে প্রকাশ্যে রাখা পুরুষের ছবি বা ঠিকানা সমস্যা নাও হতে পারে। তবে নারীদের ছবি হাইলাইট করা যেতে পারে। কারণ এর মধ্য দিয়ে অনেক নারী শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার লঙ্ঘন হচ্ছে। কেউ কেউ বুলিংয়ের শিকারও হচ্ছেন। কারণ অনলাইন থেকে ছবি নিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে নারীদের। এসব সমস্যার সমাধান করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে করা আবেদনে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা তা নিষ্পত্তি না করায় নারী শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্যে নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।
রিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং তথ্যের গোপনীয়তার অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সংবিধানের ৩১, ৩২ এবং ৪৩ অনুচ্ছেদের অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার তালিকায় সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার সীমিত রাখা এবং দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট প্রকাশিত ছবি সম্বলিত ভোটার তালিকা থেকে নারী শিক্ষার্থীদের ছবি বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
এর আগে, ২৩ আগস্ট এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা। ওই আবেদনের বিষয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।