কুড়িগ্রাম: প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের নামে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ জেলা শাখা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মো. রুকুনুজ্জামান, সদস্য সচিব রেজাউল ইসলাম (উপ-সহকারী প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল, কুড়িগ্রাম), সদস্য জাহাঙ্গীর ইসলাম (উপ-সহকারী প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল, কুড়িগ্রাম), নিয়াজ মোর্শেদ (উপ-সহকারী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ, কুড়িগ্রাম)সহ কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, দেশের ৪ শতাধিক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ৮ লক্ষাধিক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার জাতীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতার ৮৫ ভাগ কাজে নিয়োজিত থেকেও দীর্ঘদিন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। অথচ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ভিত্তিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নির্ধারিত ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী/সমমান’ পদ এবং পদোন্নতি ব্যবস্থা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
তাদের অভিযোগ, প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত পদ উন্মুক্তকরণ, পদোন্নতি কোটা বাতিল এবং ‘প্রকৌশলী’ পদবী ব্যবহারে বাধা দেওয়ার দাবি উত্থাপন করছে। এতে দেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সমাজ ক্ষুব্ধ।
সংগ্রাম পরিষদের দাবি, প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রকে ডেস্ক ও ফিল্ডভিত্তিক ভাগ করে বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব আলাদা করা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী থেকে সহকারী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করা, কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ল্যাব-ওয়ার্কশপ আধুনিকায়ন, শিক্ষক সংকট নিরসন, ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বৃদ্ধি এবং উচ্চশিক্ষায় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় বক্তারা বলেন, মেগাপ্রকল্পে পরিকল্পনা ও গবেষণায় দেশের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের কার্যকর অবদান না থাকায় বিদেশি কনসালট্যান্সির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য অপচয়। তাই রাষ্ট্রের উন্নয়ন টিকিয়ে রাখতে অভিজ্ঞ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের যথাযথ মর্যাদা ও সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি।