ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান দলের দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের (শোকজ) লিখিত জবাব জমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার প্রতিনিধি নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নোটিশ জমা দেন।
ফজলুর রহমান জানান, তাকে বিকেল ৪টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। তিনি নোটিশ হাতে পাওয়ার পর সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। এ জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নিজের লিখিত জবাবে তিনি দাবি করেন, কখনো কুরুচিপূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেননি। বরং শহিদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ আবু সাইদ হত্যাকাণ্ডের পর তিনিই প্রথম তাকে একুশ শতকের ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান জানান, তিনি দৃঢ় বিশ্বাসী মুসলমান এবং ইসলাম ও আল্লাহ-রাসুলে তার অটল আস্থা রয়েছে। তবে জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই রাজনৈতিকভাবে কথা বলেছেন এবং ভবিষ্যতেও বলবেন।
তিনি আরও জানান, কোটা আন্দোলন চলাকালীন তিনি ছাত্রদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে উৎসাহিত করেছিলেন এবং জুলাই আন্দোলন ও বিএনপির দীর্ঘ সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ফজলুর রহমানের অভিযোগ, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জামায়াত-শিবির নিজেদের ‘জুলাই আন্দোলনের ভ্যানগার্ড’ দাবি করে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছে।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের জমি তৈরি করেছে, কিন্তু ধান কাটার সময়ে জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সেটি কেটে নিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, দলের ক্ষতি হয় এমন কিছু তিনি কখনো করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি লিখেন, দলের বৃহত্তর স্বার্থে সব সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। কিছু বক্তব্যে যদি ভুলত্রুটি থেকে থাকে তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করতেও প্রস্তুত।