মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার জামালপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে নৌ-ডাকাত দলের গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত টানা সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে র্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের প্রায় ২০০ সদস্য যৌথ অভিযান শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।
পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম সরকার জানান, নদী বা লোকালয়ে সন্ত্রাস ও ডাকাতি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় ৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নৌ-ডাকাত পিয়াস সরকারকে প্রধান আসামি ও নয়নকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। মামলায় আরও ২০-৩০ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জামালপুর পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের শতাধিক গুলিবিনিময় হয়। এতে আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উজ্জ্বল দেওয়ান বলেন, “গ্রামের মানুষ আতঙ্কে ঘরে অবস্থান করছে। হামলার পরও ডাকাতরা আটক না হওয়ায় ভয় কাটেনি।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নয়ন, পিয়াস, রিপন ও বাবলা বাহিনী মেঘনা নদীতে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। অপহরণ, ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডে এসব বাহিনী সক্রিয়। এক মাস আগে ডাকাতদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন জেলে নেতা আবদুল মান্নান ও হৃদয় আহমেদ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. ফিরোজ কবির জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ডাকাত-সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন পুলিশ জনগনের পাশে রয়েছে।’
এদিকে গণমাধ্যমে পুলিশের অস্ত্র লুট হওয়ার খবরটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ‘অস্ত্র উদ্ধার না করা পর্যন্ত এ ধরনের তথ্য নিশ্চিত নয়।’
হামলার পর থেকে জামালপুর ও শিমুলিয়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।