ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভার অনিয়মের ঘটনায় আইটি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট জব্দের খবরের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, কারও পাসপোর্ট জব্দের এখতিয়ার আমাদের নেই। আমরা এটা করিনি।
বুধবার (২৭ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমার কানে খবর এসেছে, আমরা নাকি কাউকে পাসপোর্ট জব্দ করার কথা বলেছি। আসলে পাসপোর্ট জব্দ করার এখতিয়ার আমাদের নেই এবং আমরা এটা করিনি।’
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে প্রকাশিত হয়, টাইগার আইটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি পাঠানো ওই চিঠিতে টাইগার আইটির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন ১৯ ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং পাসপোর্ট জব্দ রাখার অনুরোধও করে কমিশন।
সেই চিঠিতে আরও বলা হয়, এনআইডির তথ্যভাণ্ডার ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম এবং দায়িত্ব হস্তান্তরসহ নানা বিষয়ে গড়িমসির কারণেই টাইগার আইটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
এদিকে, ইসিতে প্রথম দিনের শুনানিতে যে মারামারি হয়েছে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। না হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় এবং কাম্য ছিল। এটাও আমাদের জন্য একটা লেসন যে, অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিস সামনে এসে পড়ে। জীবনে এটা একটা পার্ট। কিন্তু এটা না হওয়াটাই ভালো ছিল। এটা আমাদের জন্য, সবার জন্য দুঃখজনক ঘটনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সরাসরি সম্পর্কিত না। আপনি যদি কোনো একটা কারণে আমার সঙ্গে বাইরে ধাক্কাধাক্কি করেন, তার জন্য তো সংস্থাকে দায় দেওয়া বা দায়ী করা ঠিক না। এ ব্যাপারে একটা সাধারণ ডায়রি করেছি, যেখানে আমরা পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
উল্লেখ্য, গত রোববার ২৪ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানিতে অংশ নেওয়া বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এতে রুমিন ফারহানা তাকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ আনেন। পরে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আতাউল্লাহ তাকে মারধর করা হয়েছে বলে ইসি সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার ইসি সচিব জানান, এই ঘটনায় শেরেবাংলা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।