সাতক্ষীরা: মৌসুম শুরুর আগেই সুন্দরবনের সাত জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। সোমবার (২৫ আগস্ট) ও মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সাতক্ষীরা রেঞ্জের দাড়গাং নদী সংলগ্ন খালে নৌকা মেরামতের সময় তারা অপহৃত হন।
অপহৃত জেলেরা হলেন—মীরগাং গ্রামের সাকাত সরদারের ছেলে মোঃ ইবরাহিম, পারশেখালী গামের আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল হামিদ, টেংরাখালী গ্রামের সুসুজন মুন্ডার ছেলে সুজিত ও কালিঞ্চি গ্রামের কেনা গাজীর ছেলে রকিবুল ইসলামসহ আরও তিনজন।
অপহৃতদের সঙ্গে থাকা জেলেরা জানান, ১ সেপ্টেম্বর থেকে মাছ ধরার মৌসুম শুরু হওয়ার কথা। তার আগে তারা খালে নৌকা ও জাল মেরামত করছিল। এ সময় ছয়–সাত জন জলদস্যু নৌকায় উঠে হামলা চালায় এবং দুই দফায় অন্তত সাত জেলেকে ধরে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ লালটু বলেন, ‘জলদস্যুরা কাজল বাহিনীর পরিচয়ে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সম্প্রতি কিছু ব্যক্তি জলদস্যুদের জন্য ২৫–৩০ হাজার টাকার বাজার সদাই সুন্দরবনে পাঠিয়েছে।’
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. ফজলুল হক জানান, ‘বর্তমানে সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে অনুমতি নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া যাবে।’ তিনি বলেন, ‘জেলেদের অপহরণের বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়েছেন। তবে নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় অপহৃত জেলেদের পরিবার আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ করেনি।’
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, ‘কয়েকজন জেলেকে অপহরণের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে পুলিশ রওনা দিয়েছে। জলদস্যুদের জন্য কেউ বাজার সদাই পাঠিয়ে থাকলে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’