ঢাকা: উচ্ছৃঙ্খল জনতার (আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা) মারমুখী আচরণ এবং তাদের ছোঁড়া ইটপাটকেলের আঘাতে ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলমসহ পুলিশের ৭ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যরা কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আহত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রেজোয়ানুল ইসলাম (৩৭), এসআই তৌহিদুল ইসলাম, এএসআই ফরহাদ আলী (২৯), কনস্টেবল আদিব (২২), কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম (২০) ও কনস্টেবল শ্রাবণ (২০)। তাদের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম ও আদিবের অবস্থা গুরুতর।
তালেবুর রহমান বলেন, ‘আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক শাহবাগ মোড় দখল করে আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করতে থাকে। জনসাধারণের চলাচলকে স্বাভাবিক করতে শাহবাগ মোড়ে সমবেত শিক্ষার্থীদেরকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বারবার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ অব্যাহত রাখে এবং দুপুর দেড়টার দিকে তারা বেআইনিভাবে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওনা করে ডিবিবিএল ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেয়।’
তিনি বলেন, ‘তারা যমুনায় প্রবেশে উদ্যত হলে অবৈধ সমাবেশকে পুলিশ আইনগতভাবে ছত্রভঙ্গ করে। এসময় উচ্ছৃঙ্খল জনতার মারমুখী আচরণ এবং তাদের ছোঁড়া ইটপাটকেলের আঘাতে ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলমসহ ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম ও আদিবের অবস্থা গুরুতর। আহত পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ না করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ইতঃপূর্বে প্রেস বিজ্ঞপ্তিসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুনরায় অনুরোধ করা হলো।’