সিলেট: সিলেটে আবারও পুকুর থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার করেছে প্রশাসন। এবার কচুরিপানার আড়ালে ঢাকা চারটি পুকুর থেকে প্রায় দুই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধোপাগুল ও লালবাগ এলাকায় অভিযান চালায় সিলেট জেলা প্রশাসন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকার মামুনুর রশীদ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন। এ সময় পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকার মামুনুর রশীদ জানান, চারটি পুকুরেই মাটি ও কচুরিপানার নিচে পাথর লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলায় কারা এর সঙ্গে জড়িত তা এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত পাথর উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর থেকেই সিলেটের অন্যান্য কোয়ারির মতো কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর ও ধলাই নদীতে প্রকাশ্যে পাথর লুট শুরু হয়। প্রতিদিন শত শত নৌকায় করে এসব পাথর পরিবহন করা হতো। এক পর্যায়ে নদীর তীর খুঁড়ে বালুর নিচ থেকেও পাথর উত্তোলন করা হয়। লাগামহীন এই লুটপাটে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রটি ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারা এই লুটপাটে জড়িত। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা ছড়িয়ে পড়লে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও প্রশাসন নড়ে ওঠে।
এর মধ্যে হাইকোর্ট এক নির্দেশনায় সাদাপাথর এলাকা থেকে লুট হওয়া পাথর সাত দিনের মধ্যে উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপনের আদেশ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার বিকালে খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) মহাপরিচালক মো. আনোয়ারুল হাবীব বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১,৫০০-২,০০০ জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় কোটি কোটি টাকার পাথর লুটের অভিযোগ আনা হয়। ঘটনার পর থেকে বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান শুরু করে। বিভিন্ন স্থানে বালু ও মাটির নিচে লুকানো অবস্থায় পাথর উদ্ধার হচ্ছে।