Thursday 23 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকায় ‘মার্চ ফর গাজা’ পালিত, ওলামাদের ১০ দফা ঘোষণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২৫ ১৬:৩২ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৫ ২১:০১

ঢাকায় ‘মার্চ ফর গাজা’ পালিত।

ঢাকা: গাজায় দখল, গণহত্যা, জাতিগত নিধন এবং ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাজধানী ঢাকায় পালিত হয়েছে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম। তারা গাজাবাসীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ঘোষণা ও অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন।

সমাবেশ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘকে অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর নেতাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিন রক্ষায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে অনুরোধ করা হয়।

ছবি: সারাবাংলা

ছবি: সারাবাংলা

ছবি: সারাবাংলা

১০ দফা ঘোষণা ও দাবি

বিজ্ঞাপন

ওলামায়ে কেরাম কর্মসূচি থেকে ১০ দফা ঘোষণা দেন। এগুলো হলো:

-বাংলাদেশের পাসপোর্টে “Except Israel” শর্ত পুনর্বহাল করা এবং ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার অবস্থান স্পষ্ট করা।

-সরকারের সঙ্গে ইসরায়েলি যেসব প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হয়েছে, তা বাতিল করা।

-গাজায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর কার্যকর ব্যবস্থা করা।

-সরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং আমদানি নীতিতে জায়নবাদী কোম্পানির পণ্য বর্জনের নির্দেশনা জারি করা।

-পাঠ্যবই ও শিক্ষা নীতিতে আল-আকসা, ফিলিস্তিন, এবং মুসলিম সংগ্রামী ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা।

*ইসরায়েলি কোম্পানির সঙ্গে যে কোনো ধরনের চুক্তি ও বাণিজ্য বন্ধ।
*গাজায় প্রাণ রক্ষার সহায়তা পাঠানো।
*দেশের পাঠ্যপুস্তকে ফিলিস্তিন ও আল আকসার ইতিহাস অন্তর্ভুক্তকরণ।
*অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পাঁচ দফা বিশেষ দাবি পেশ।

-জায়নবাদী ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিশ্চিত করতে হবে।

-যুদ্ধবিরতি নয় বরং গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ও সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

-১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী ভূমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক প্রয়াস চালাতে হবে।

-পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

-ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “ফিলিস্তিনের মুক্তি মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”

ঢাকার এ কর্মসূচির সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গাজা ইস্যুতে চলমান বিক্ষোভ ও সংহতি কার্যক্রমের মিল পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, ইতালি ও বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।

সারাবাংলা/এফএন/এসডব্লিউ
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর