ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নুরুল হক নুরকে দেখতে গিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
ড. মঈন খান বলেন, ‘‘রাজপথে নুরুল হক নুরের অবস্থান স্পষ্ট। তার ওপরে এভাবে হামলার ঘটনা দেশের মানুষ মেনে নিতে পারে না। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই, সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’’
এর আগে, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নুরুল হক নুরকে দেখতে যান হাসপাতালে। তিনি তার চিকিৎসা সম্পর্কে অবহিত হন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, নুরুল হক নুরের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সাজারির বিভাগের ডা. জাহিদ রায়হানের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন নুর।
‘নূরের অবস্থা স্থিতিশীল’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের নুরুল হক নুরের অবস্থা সম্পর্কে বলেন, ‘‘তার চোখের ওপরে আঘাত রয়েছে, মাথায় সামান্য রক্তক্ষরণ রয়েছে। আহত অবস্থায় রাতে হাসপাতালে আনা হলে প্রথমে ক্যাজুয়ালটি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে দেখেন। সেখান থেকে তাকে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে (ওসেক) রাখা হয়। পরে রাতেই আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘‘রাতেই পাঁচ বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয় এবং তাদের পরামর্শে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার বর্তমান অবস্থা স্টেবল (স্থিতিশীল) রয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘৪৮ ঘণ্টা না যাওয়া পর্যন্ত অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলছি না। তার মস্তিষ্কে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে, সেটা ওষুধে ভালো হয়ে যাবে বলে আশা করছি।”
নুরুল হক নুরের চিকিৎসায় গঠিত ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন ঢামেকের পরিচালক, অ্যানেস্থিশিয়া বিভাগের প্রধান, ক্যাজুয়ালটি, নাক-কান-গলা, নিউরোসার্জারি ও চক্ষু বিভাগের একজন করে চিকিৎসক রয়েছেন।
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জাপার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
