ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের গবেষণায় যুক্ত করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের গবেষণা সহকারী হিসেবে নিয়োজিত করা হচ্ছে।’
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের একযুগপূর্তি উৎসব ও সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রচলিত অর্থে মেধায় অনেকটাই এগিয়ে এবং আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও তারা পেশাগত জীবনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সমস্যার সমাধান আমাদের এককভাবে করা সম্ভব নয়। সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও আমরা বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের পথে এগিয়ে চলেছি। তবে এটাও সত্য, এইসব সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব নয়। তারপরও অনেক সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়েছি আর এগুলো সবই আমাদের শিক্ষা সহায়ক।’
একাডেমিক বিষয়ে অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘একাডেমিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণ। যদিও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে আমরা প্রত্যাশিত সময় দিতে পারি না, তবুও আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস ও কোর্স কারিকুলাম নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্লাস মনিটরিং সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের একাডেমিক ব্যবস্থায় প্রথমবারের মতো বাস্তবায়ন হয়েছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘আমি যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করেছি, সেই প্রতিষ্ঠান আমাকে একটি পরিচয় দিয়েছে, যার ভিত্তিতেই আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। তেমনি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও তোমাদের একটি পরিচয় দিয়েছে, যেটিকে ধারণ করে তোমরা ভবিষ্যতে পেশাগত জীবনসহ সামগ্রিক জীবনের পথচলা নির্ধারণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বৃহত্তর বাস্তবতার বাইরে নয়। আমাদের সমস্যাগুলোর সংখ্যা হয়তো তুলনামূলকভাবে বেশি, তবে এসব সমস্যার সমাধানে আমরা সর্বাত্মকভাবে সচেষ্ট এবং নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা আমাদের জন্য বাইরের কেউ নয়, আমরা সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমন্বিত অংশ। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সমস্যার সমাধানে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নেতৃত্ব প্রদানে সক্ষম হবে।’
লোক প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আছমা বিন্তে ইকবাল এর সভাপতিত্বে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুমান মাহ্ফুজ ও সুবাহ্ সামারা সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সানজিদা ফারহানা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক রিফাত ফারহানা।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ‘দীপাধার’ নামে একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।