কক্সবাজার: আদালতের নির্দেশে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বৃহৎ পরিসরে অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সামগ্রিক উচ্ছেদ অভিযান চলবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সোমবার (১ সেপ্টম্বর) সকালে বাঁকখালীর কস্তুরাঘাট এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এদিকে অভিযানকে কেন্দ্র করে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
দুপুরে ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৪টি স্কেভেটরের সহায়তায় অন্তত ১৫টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার বিকেলে ওই এলাকায় মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দেয় বিআইডব্লিউটিএ। চলমান উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করছে জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে আগামী চার মাসের মধ্যে উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে গত ২৪ আগস্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ওই নির্দেশনার এক সপ্তাহের মধ্যেই গত ২৯ আগস্ট কক্সবাজার সফর করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। আর তার সফরের দুইদিন পর শুরু হয়েছে বাঁকখালী নদীর তীরে গড়ে উঠা নানা অবৈধ স্থাপনা।
আদালতের রায়ে বলা হয়, কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত বাঁকখালী নদীর বর্তমান প্রবাহ এবং আরএস জরিপের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণপূর্বক নদীটিকে সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে আগামী চার মাসের মধ্যে উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।