ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিগত প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতি বাতিল ও নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে পুনরায় ভর্তি নিশ্চিতসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংসদ। এসময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আদলে গবেষণা নীতি প্রণয়নের দাবি জানান। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। মানববন্ধনে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সভাপতি নূর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব, সহ-সভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তাদের দাবিগুলো হলো- পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত নীতিমালার সঙ্গে সমন্বয় করে ইবির নতুন গবেষণা নীতি প্রণয়ন করতে হবে বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষা নীতি বাতিল করতে করে, নতুন নীতি প্রণয়ন এবং পুনরায় এমফিল ও পিএইচডি ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি নূর আলম বলেন, সম্প্রতি পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত নীতিমালার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে অনার্স ও মাস্টার্স উভয় পর্যায়ে ন্যূনতম ৩.৫০ (৪.০০ এর মধ্যে) সিজিপিএ শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের বৃহৎ অংশকে গবেষণার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার এক সুস্পষ্ট নীলনকশা।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ভর্তির যোগ্যতা ন্যূনতম ৩.০০ ও ক্ষেত্র বিশেষে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৩.২৫ সিজিপিএ রাখা হয়েছে। অথচ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক পার্থক্য বিবেচনা না করে অযৌক্তিকভাবে সর্বনিম্ন ৩.৫০ সিজিপিএ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি গবেষণার ক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের উপর অযথা বৈষম্য চাপিয়ে দেওয়ার শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, গবেষণায় ভর্তির যোগ্যতার মানদণ্ডে সিজিপিএ কমানোর জন্য আমরা পূর্বেই একটা কমিটি গঠন করেছিলাম। তারা কাজ করছে। অর্ডিন্যান্স পরিবর্তনের জন্যও আমাদের কাজ চলছে। তোমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। এসব দাবি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।