নীলফামারী: নীলফামারীর উত্তরা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রমিকদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত শ্রমিক হাবিবুর রহমান হাবিবের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নানা জটিলতার পর মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
জানা যায়, সকাল থেকে সংঘর্ষে হাবিব নিহত হওয়ার পর তার মরদেহ নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতা। এসময় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা নীলফামারী-সৈয়দপুর মহাসড়ক অবরোধ করে। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে মহাসড়কে। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, নিহত হাবিবের মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিতে গেলে শ্রমিক ও স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরোধ দেখা দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরদিন সকাল ১০টায় মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মরদেহ জোরপূর্বক নিয়ে এসে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের দাবি জানানো হলে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা দীর্ঘসময় আলোচনা করেন। শেষ পর্যন্ত পরিবারের লিখিত অভিযোগ না থাকার ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন।
পরে বিকেল ৫টার দিকে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানাজা শেষে হাবিবকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।