বাগেরহাট: তিন মাসের বিরতির পর সুন্দরবনের মাছ ধরার মৌসুম শুরু হয়েছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের উপকূলের প্রায় এক হাজার জেলে শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের অনুমতিপত্র (পাসপারমিট) নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন।
শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের সংশ্লিষ্ট স্টেশন সূত্র জানায়, এখনও যারা জাল ও নৌকা মেরামত করতে পারেননি, তারা পরবর্তীতে পাস সংগ্রহ করে বনে প্রবেশ করবেন।
রেঞ্জ অফিসের পক্ষ থেকে জেলেদের সতর্ক করা হয়েছে, অভয়ারণ্যে প্রবেশকালে কোনো ধরনের বিষাক্ত দ্রব্য ব্যবহার, পলিথিন বা প্লাস্টিক নদী ও বনাঞ্চলে ফেলা এবং বনজ সম্পদের ক্ষতি করা যাবে না। এ ছাড়া, বন ও বনদস্যুদের আক্রমণের শিকার হলে দ্রুত জানাতে প্রত্যেক স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির মোবাইল নম্বর জেলেদের দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্মার্ট পেট্রলিং টিম ও বন রক্ষীরা নিয়মিত টহল চালাবেন।
প্রথম দিনে বনে যেতে পারেননি শরণখোলা সাউথখালী ইউনিয়নের সালাম বয়াতী, সোনাইতলা গ্রামের সবুর ও মোশারফ।
তারা জানিয়েছেন, নৌকা এখনো প্রস্তুত হয়নি। দুই একদিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। তবে জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর নতুন দস্যু বাহিনী বনে ঢুকে তাদের অপহরণ বা নির্যাতন করতে পারে বলে উদ্বিগ্ন তারা।
শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, প্রথম দিনে ২৫০টি নৌকায় পাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি নৌকায় দুই-তিন জন করে মোট ৬০০ জেলে প্রবেশ করেছেন।
শরণখোলার কেন্দ্রিক জেলের সংখ্যা তিন সহস্রাধিক। যারা এখনো প্রস্তুত নন, তারা কিছু দিনের মধ্যে বনে যেতে পারবেন।
শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব জানান, জেলেরা যাতে বনের পরিবেশের ক্ষতি না করে এবং কোনো অপরাধে জড়িত না হয়, সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে। বিপদ এড়াতে প্রত্যেক জেলের নৌকায় সংশ্লিষ্ট স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। দস্যুভীতি রোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।