ঢাকা: আদি ফোককে নতুন আবহে উপস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। ১০০ শিল্পীর ৪০০ গান নিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে এটিএন ফোক ক্লাব নামের অনু্ষ্ঠানটি।
এরইমধ্যে বেশ কিছু গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। যাতে দেশের গুণী ও জনপ্রিয় শিল্পীরা কণ্ঠ দিয়েছেন। এই আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও উদ্যোগে আছেন প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ মান্নান মোহাম্মদ। সংগীত পরিচালনায় তার সঙ্গে রয়েছেন ছেলে সানি মোহাম্মদ, যিনি লন্ডন থেকে সংগীত বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেছেন।
শীঘ্রই এফডিসিতে গানের দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হবে। সংগীতশিল্পী কাজল আরিফ দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি হলো মান্নান মোহাম্মদের কথা ও সুরে ‘তোর পিরিতের বিষে’। অন্যটি কাজল আরিফের জনপ্রিয় গান ‘কেমন ভালোবাসো’, যা নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কাজল আরিফ বলেন, ‘এটিএন ফোক ক্লাবে দুটি গানে কণ্ঠ দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক শ্রদ্ধেয় মান্নান মোহাম্মদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। দেশের ফোক গানগুলোকে নতুন আঙ্গিকে শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরার জন্য এটিএন বাংলার এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
মান্নান মোহাম্মদ বলেন, ‘এটিএন বাংলা সব সময় সুস্থ সংস্কৃতি লালন করে থাকে। ওই জায়গা থেকে দেশের শিকড়ের গান নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন চ্যানেলটির চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। এদিকে, আজকাল ফোক গান নিয়ে বিভিন্ন আয়োজন চোখে পড়ে। যেখানে আধুনিকায়ন করা হয়। অনেকদিন ধরে আমি চাচ্ছিলাম গানগুলোর শিকড়ের স্বাদ অক্ষুন্ন রেখে দেশিয় ও পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে উপস্থাপন করতে। মাহফুজুর রহমান সাহেবের অনুপ্রেরণায় আর দেরি করিনি। আজকাল অনেকেই দেখা যায় গান গাইতে না পেরেও গাইছে। বিষয়টি উচিত নয়। আমার এখানে এর কোনো সুযোগ নেই। যারা প্রকৃত শিল্পী তারাই সুযোগ পাবেন। সঙ্গে রয়েছে রয়েছে আমার সন্তান সানি মোহাম্মদ। সে লন্ডন থেকে পড়াশোনা শেষ করে এসে সংগীতে ক্যারিয়ার শুরু করেছে।’
প্রসঙ্গত, দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের একজন কাজল আরিফ। ২০১৩ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘নতুন একটা প্রেমে পড়ো’ বাজারে আসে। এরপর থেকে নিয়মিত গান করছেন তিনি। প্রকাশ করছেন মৌলিক গান ও মিউজিক ভিডিও। শ্রোতামহলেও তার গানগুলো হয়েছে সমাদৃত। এরমধ্যে ‘স্বপ্নছেড়া’, ‘রবে না এ ধন’, ‘কেমন ভালোবাস’ এবং ন্যান্সির সঙ্গে দ্বৈত গান ‘বর্ষাবরণ’ উল্লেখযোগ্য।