ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে থাকছে না পোস্টার এর ব্যবহার। আর একজন প্রার্থী এক সংসদীয় আসনে ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবে না, বেলবোর্ডের আয়তন হবে সর্বোচ্চ ১৬ ফুট। এবারের নির্বাচনে এমন বিধান রাখা হয়েছে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন প্রস্তাবের সঙ্গে সমন্বয়ে রেখে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) নতুন আচরণ বিধিমালা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বিলবোর্ড ব্যবহার বিষয়ে ইসি জানিয়েছে, বিলবোর্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুধু ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলোতে আলোর ব্যবহার করা যাবে। বিদ্যুতের ব্যবহার করা যাবে। অন্য ক্ষেত্রে আলোকসজ্জার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর প্রচারে বিলবোর্ডের ব্যবহার অতীতে ছিল না এবার যুক্ত করা হয়েছে। পোস্টার ব্যবহার বন্ধে সংস্কার কমিশনেরও একটা প্রস্তাব ছিল। আর ব্যানার ও ফেস্টুনের ব্যবহার নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমন একটি বিষয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় আছে।’
সেসঙ্গে এবার আরপিওতে নির্বাচনি প্রচারে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রচারসামগ্রীতে পলিথিন, রেকসিনের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রচারের সময় শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলে রাখতে হবে। প্রচারণার সময় থাকছে তিন সপ্তাহ।
জানা গেছে, আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে দলের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামাও নেবে ইসি।
আচরণবিধির ‘গুরুতর’ অপরাধের ক্ষেত্রে আরপিওতে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে। আগে আচরণবিধিতে আরপিও অনুচ্ছেদটি ছিল না, এটা এবার যুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, নারীদের সাইবার বুলিং রোধ করা; বিদেশে কোনো প্রার্থীর পক্ষে সশরীরে প্রচারণা না চালানো; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ( এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিথ্যাচার বা অপপ্রচার চালালে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে আচরণ বিধিমালায়।
নির্বাচনের দিন ও প্রচারের সময় কোনো প্রকার ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এআই ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হয়েছে আচরণবিধিতে।
আচরণ বিধিমালায় ভোটার স্লিপ দেওয়ার প্রথাকে আইনগত ভিত্তি দেওয়া হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো প্রার্থী ও প্রতিষ্ঠান ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে পারবে। তবে ভোটার স্লিপে প্রার্থীর নাম, ছবি, পদের নাম ও প্রতীক উল্লেখ করতে পারবে না। নির্বাচনি প্রচার ও ভোটগ্রহণের সময়ে কোনো প্রকার ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদেরও যোগ করা হয়েছে। ফলে তারা প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামতে পারবেন না।
গণমাধ্যমের সংলাপ ও সব প্রার্থীর এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণার সুযোগ রাখা হয়েছে। কমন প্লাটফর্মে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট আসনে, সব প্রার্থীকে নিয়ে একটি প্লাটফর্ম থেকে একদিনে তাদের ইশতেহার বা ঘোষণাপত্রগুলো পাঠ করার ব্যবস্থা করবেন।
নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণায় ২০টির বেশি বিলবোর্ড নয়
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২২
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২২
সারাবাংলা/এনএল/এনজে