কক্সবাজার: কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে স্থানীয়দের বাধার মুখে সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে শহরের ছয় নম্বর ও নুনিয়ারছড়া এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ এবং জেলা প্রশাসন। এ সময় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সেখানকার বাসিন্দারা। গত চারদিনের ধারাবাহিকতায় আজও এই অভিযান চালানো হয়।
বসতবাড়ি হারানোর শঙ্কায় শহরের ঘুনগাছতলা এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন তারা। এক পর্যায়ে রাস্তায় টায়ার ও বাঁশ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং উচ্ছেদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় উচ্ছেদ আতঙ্কে থাকা শহরের পেশকার পাড়ার বাসিন্দারাও।
আরও পড়ুন: বাঁকখালী নদী উদ্ধারে উচ্ছেদ হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা
এ সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারী যানবাহন নিয়ে অবস্থান নেন সেনা সদস্যরা,পাশাপাশি মোতায়ন করা হয় র্যাব-পুলিশের বিপুল সদস্য।
আন্দোলনরত বাঁকখালী পাড়ের বাসিন্দাদের শান্ত করতে ছুটে আসেন সাবেক সাংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির মৎসজীবি বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল। তাদের আশ্বাসে জনগণ শান্ত হলে পিছু হাঁটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। জনরোষের মুখে উচ্ছেদ স্থগিত করে ওই এলাকা ত্যাগ করেন বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই উচ্ছেদ অভিযানে শহরে কস্তুরাঘাট ও বদরমোকাম মসজিদ এলাকায় প্রায় ১০০ একর নদীর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে, বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৩৪৩টি কাঁচা-পাকা স্থাপনা।