ঢাকা: রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানান্তর এবং ১৫ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া ৩৫৪ জন চিকিৎসক ও শিক্ষকদের মানববন্দন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর প্রেস ক্লাবে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) প্রকল্পে নিয়োগ প্রাপ্ত দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষক এবং চিকিৎসারা অংশ নেন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, গত বছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। ৪র্থ সেক্টর প্রগ্রামের এএমসি প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষক এবং চিকিৎসক বেতন বন্ধ থাকলেও অদ্যাবধি অত্যন্ত দায়িত্বশীলভাবে শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার অপারেশন প্ল্যান বন্ধ করে দুই বছরের জন্য একটি ডিপিপি চালু করে এক্সিট প্ল্যান চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। সরকারের প্রতিশ্রুতি এবং স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয় অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হবে। সেই লক্ষ্যে দেশের তৃনমুল পর্যায়ে আন্তরিকতার মাধ্যমে আমরা নিয়মিতভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলাম। সম্প্রতি সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সভায় এএমসিসহ সকল অপারেশন প্ল্যানের নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং কর্মচারিদের ক্যারীড ওভার না করে তাদের আউটসোর্সিং হিসেবে সুপারিশ করা হয়। যা অত্যন্ত অপমানজনক এবং অসম্মানের। আমরা লিখিত, মোখিক এবং স্বাস্থ্য পরিক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছি।
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ থাকায় এএমসি প্রকল্পের নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৫৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি আজ চরম হতাশায় মানবিক জীবন যাপন করছে। দেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এবং আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক চিকিৎসা হিসেবে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানি এবং আয়ুর্বেদক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। দেশে প্রায় তিন হাজার গ্রাজুয়েট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, পনের শত জন গ্রাজুয়েট ইউনানি চিকিৎসক এবং প্রায় পনের শত জন আয়ুর্বেদিক গ্রাজুয়েট চিকিৎসক রয়েছে। এরই মধ্যে এএমসি প্রকল্পের ৪৫ জন মেডিকেল অফিসার, ৬৪ জন কম্পাউন্ডার এবং ৪৮৭ জন হার্বাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই তিন চিকিৎসা পদ্ধতির নিয়োগ প্রাপ্ত ৩৫৪ জন মেডিকেল অফিসারদের ( হোমিওপ্যাথিক, ইউনানি এবং আয়ুর্বেদিক) প্রাপ্য বকেয়া বেতন দ্রুত প্রদান, প্রকল্পের জনবল ক্যারিড ওভার এবং এই জনবলকে দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মানববন্ধনে ইউনানি আয়ুর্বেক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর সভাপতি এবং এএমসির ফোকাল পার্সন ডা. মীর্জা লুতফর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সসম্মিলিত হোমিওপ্যাথিক জোটের আহব্বায়ক ডা. আরিফুর রহমান মোল্লা, জি এইচ ড্যাবের সদস্য সচিব ডা. জাকির হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. মসিউজ্জামান পান্নু, আগড্যাবের সদস্য সচিব ডা. আমিনুল বারী কানন ডা. মো. মিজানুর রহমান, ডা. আব্দুল মতিন, ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান তোহা, ডা. সৈয়দ সুমন, ডা. রিতু খন্দকার, ডা. তৌফিক, ডা. ওয়াজেদ আলী, ডা. সায়েমুল প্রিন্স, ড.আ. সোহেল, ডা. কেরামত আলীসহ অন্যান্যরা।