নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জেনারেশন জি বা জেন-জির বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগে রাজধানী কাঠমান্ডুতেই মারা গেছেন ১৭ জন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
কাঠমান্ডু ভ্যালি পুলিশ কার্যালয়ের মুখপাত্র শেখর খানাল জানান, বিক্ষোভ চলাকালীন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হন। এ ছাড়া, পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইতাহারিতে আরও দুজন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের বরাত দিয়ে নেপালের বিবিসি সংবাদদাতা জানিয়েছেন।

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে রাজধানী কাঠমান্ডুতে জেন-জিসহ সাধারণ জনতা বিক্ষোভ করেছে। ছবি সংগৃহীত
বিক্ষোভ সহিংস রূপ ধারণ করলে স্থানীয় প্রশাসন দেশটির বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি করে। এদিন বিকেল থেকে কাঠমান্ডু, পোখারা, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া এবং ইতাহারিসহ একাধিক শহরে কারফিউ চলছে।
আরও পড়ুন-উত্তাল নেপাল, কিন্তু কেন?
পুলিশ জানায়, কারফিউ জারির পরও কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বরে ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ থামেনি। ভ্যালি পুলিশের মুখপাত্র খানাল বলেন, ‘কিছু এলাকায় এখনো বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ চলছে।’

তরুণদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের তথ্যমতে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত একশ’র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, যারা কাঠমান্ডুর তিনটি পৃথক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরও ৪৫ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।