Tuesday 09 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নেপালে কারফিউ জারি, সেনা মোতায়েন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৪২ | আপডেট: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৩৩

নেপালে জেনজিদের আন্দোলন। ছবি : বিবিসি বাংলা

নেপালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। এই আন্দোলনটি ‘জেন জি’ বা তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুসহ দেশের বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

কাঠমান্ডু ভ্যালি পুলিশ কার্যালয়ের মুখপাত্র শেখর খানাল জানিয়েছেন, সমাবেশ চলাকালীন রাজধানী কাঠমান্ডুর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হন।

বিবিসি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, ‘জেন জি’ পরিচিত তরুণ ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশের সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে দেশটির বিভিন্ন শহরে স্থানীয় প্রশাসন কারফিউ জারি করেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার বিকেল থেকে কাঠমান্ডু, পোখরা, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া এবং ইতাহারীসহ অন্যান্য এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, কারফিউ ঘোষণার পরও কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বরে ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ থামেনি।

ভ্যালি পুলিশের মুখপাত্র খানাল বলেন, “ কিছু এলাকায় এখনও বিক্ষোভ এবং সংঘর্ষ থামেনি।”

কাঠমান্ডুর তিনটি পৃথক হাসপাতালে এখনও একশ জনেরও বেশি আহত চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও ৪৫ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।

সেখানকার জাতীয় ট্রমা সেন্টারে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালটির প্রধান সুপারিনটেন্ডেন্ট ডা. বদরি রিজাল জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিউ বানেশ্বরের কাছে সিভিল সার্ভিস হাসপাতালে কিছু মরদেহ রাখা হয়েছে, যেগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে।

এই হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর দীপক পাউডেল বিবিসিকে বলেছেন, হাসপাতালে আনা বেশিরভাগ আহতের শরীরে গুলি লেগেছে।

বেশ কিছু মরদেহ নতুন বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালেও রাখা হয়েছে। হাসপাতাল প্রশাসনের সহকারী প্রধান অনিল অধিকারী বলেন, বিপুল সংখ্যক আহত ব্যক্তিকে আনার পর তাদের অন্যান্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

একইভাবে, সিনামঙ্গলের কেএমসি টিচিং হাসপাতালে একজন আহত ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের প্রশাসনিক প্রধান নারায়ণ দাহাল।

ক্রমেই আহতদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সিভিল হাসপাতাল আহতদের কয়েকজনকে অন্যান্য হাসপাতালে রেফার করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের বেশিরভাগকে সিভিল সার্ভিস (সিভিল) হাসপাতাল এবং বীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজনকে সিনামঙ্গলের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের একটি সূত্রের বরাতে বিবিসির নেপাল সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সারাবাংলা/এসআর

কারফিউ জেনজিদের আন্দোলন নেপাল সেনা মোতায়েন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর