ঠাকুরগাঁও: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও ছিল আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। কিন্তু এখন ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ আওয়ামী লীগকে তাড়িয়ে বিএনপির ঘাঁটিতে পরিণত করেছে।’
অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। তিনি বলেছেন নির্বাচনের এ সিদ্ধান্ত আল্লাহ ছাড়া কেউ পরিবর্তন করতে পারবেন না। একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন হলে দেশের সংস্কার সহজ হবে। মানুষ তার অধিকার ফিরে পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ চাচ্ছে এই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আর সেটা তারেক রহমানের নেতৃত্বের মাধ্যমেই হোক।’
অপরদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে নির্যাতিত হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। অথচ কয়েকজন এখন বলছে তাদের শহিদদের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে বিতারিত করেছে। যাদের আমরা ভালো ভেবে দেশের নেতৃত্বের জায়গায় বসিয়েছিলাম, তারা বলছে এক স্বৈর শাসককে তাড়িয়েছি, আর কোনো স্বৈরাচারী শাসককে আমরা চাই না। তারা এ কথার মাধ্যমে কাদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ সাহস তারা পায় কোথায়? অথচ ২৪ এর আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি
শহিদ হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরাই।’
এর আগে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনসহ বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এরপরে প্রথম অধিবেশন ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুপুর ২ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
দীর্ঘ ৮ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম শরিফসহ ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারও করেছেন। সবশেষ সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মির্জা ফয়সাল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৫১টি ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন পয়গাম আলী। অন্যান্য সকল পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সকলকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার।
সম্মেলনে জেলার ৫টি উপজেলা এবং ৩টি পৌরসভার ৮০৮ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।