Tuesday 09 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বড় দরপতনেও চাঙ্গা নিম্নমানের শেয়ার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০৪ | আপডেট: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৪০

ঢাকা: প্রায় দেড় সপ্তাহ চাঙ্গাভাব থাকার পর চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের দুই পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। একই সঙ্গে লেনদেনও কমেছে। তবে দরপতন ও লেনদেন কমলেও নিম্নমানের শেয়ারের দর বেড়েছে। ভাল ও মৌলভিত্তিসম্পন্ন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমার কারণে লেনদেন কমেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-তে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে আগের দিনের ধারাবাহিকতায় ডিএসই-তে লেনদেন শুরু হয়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই বাজারের চিত্র বদলে যায়। আস্তে আস্তে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমতে থাকে এবং অবশিষ্ট সময় নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই-তে সব খাত মিলে মাত্র ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর বাড়ে। এর বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৫টির। আর ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ২৬টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে ১৮৪টির দাম কমেছে এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে ৬৭টির দাম কমেছে এবং ২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৯টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৪টির এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৬টির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ২১টির দাম কমেছে এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মঙ্গলবার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৫২ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ডিএসই-তে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৭৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ৪০০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

এদিকে পতনের বাজারে চাঙ্গা ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন-এর শেয়ার। কোম্পানিটির ৫০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবি’র শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ২৪ লাখ টাকার। ২৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।

ডিএসই’র পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

মঙ্গলবার সিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫২টির দাম বেড়েছে; দাম কমেছে ১৬৮টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

সারাবাংলা/একে/আরএস

ডিএসই-সিএসই পুঁজিবাজার

বিজ্ঞাপন

৪৫তম বিসিএস ভাইভার সূচি পরিবর্তন
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:১৯

আরো

সম্পর্কিত খবর