ঢাকা: এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন সার ও স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানিসহ ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা।
এছাড়া ইতোপূর্বে ক্রয় কমিটিতে অনুমোদিত দুটি প্রকল্পের পূর্ত কাজের দুটি পৃথক সংশোধিত ব্যয় প্রস্তাব (ভেরিয়েশন) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ দুই প্রস্তাবে মোট ব্যয় বাড়ছে ১৮৮ কোটি ৪ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, চলতি পঞ্জিকা বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের জন্য আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো (চলতি বছরের ৪৬ ও ৪৮ তম) এলএনজি আমদানির দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান এই কার্গো দুটি সরবরাহ করবে। এর মধ্যে ৪৬তম কার্গোটি সরবরাহ করবে ‘মেসার্স আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড’। প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.৮৫ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ৪৯৭ কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে ৪৮তম কার্গোটি সরবরাহ করবে ‘মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড’। প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.৯৭ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ৫০২ কোটি ৯৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
বৈঠকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিএডিসি’র সঙ্গে চুক্তির আওতায় তিন ক্যাটাগরির মোট ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি মেট্রিক টন ৫৭৯ ডলার দরে মরক্কো’র ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৫ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১২ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা; প্রতি মেট্রিক টন ৭৭৮.৩৩ ডলার দরে মরক্কো’র একই প্রতিষ্ঠান থেকে চতুর্থ লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮১ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং প্রতি মেট্রিক টন ৩৬১ ডলার দরে ‘কনাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন’ থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭৭ কোটি ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ব্যয় হবে।
এছাড়া কাফকো থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ৪৫২.৬২৫ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজর টাকা।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে ১২২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-এর কুমিল্লা জোনের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্র স্থাপন-মানোন্নয়ন ও বে-সম্প্রসারণ (মনোনীত দরদাতা: আইডিয়াল ইলেকট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড); ১৭৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে লালমনিরহাটে ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ (মনোনীত দরদাতা: মীর আখতার হোসেন লিমিটেড) এবং ৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে জ্বালানি তেল ও গ্যাসে কার্বন হ্রাসে কারিগরি সহায়তা প্রদানে নরওয়ে ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘কার্বন লিমিটস এএস’-কে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে দুই ভেরিয়েশন প্রস্তাবের মধ্যে ঢাকা ওয়াসার ‘ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’-এ একটি পূর্ত কাজে ১৪৬ কোটি ৯২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং ‘দোহাজারী ঞেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের নিকটে গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (২য় সংশোধি)’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজ কাজে ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।