ঢাকা: প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মধ্যরাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্রদলের সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে তিনি যখন পোস্টটি দেন, তখন ডাকসুর পাঁচটি হলের ফল ঘোষণা শেষ হয়েছে। ওই সময়ে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) পেয়েছেন ৭০৭৬ ভোট, আর মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ১৭৮৯ ভোট।
ফলাফলের এই পর্যায়ে আবিদুল তার পোস্টে লেখেন, ‘পরিকল্পিত কারচুপির এই ফলাফল দুপুরের পর পরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।’
অন্যদিকে একই প্যানেলের জিএস প্রার্থী শেখ তানবীর বারী হামিম এক পোস্টে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি মনে করেন- এটিই তাদের রায় তবে এই রায়কে আমি সম্মান জানাই। আমি শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষামাণ। আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা এ ভোটানুষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গণনার ক্ষেত্রে মেশিনের ত্রুটি,জালিয়াতি এবং কারচুপি পরিলক্ষিত হয়েছে।’
‘যা হোক, প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবৃন্দ- আমি বরাবরই আপনাদের কাছে আপনাদের ভালোবাসায় ঋণী। আমি আপনাদের সাথে ছিলাম-আছি এবং যতদিন থাকব আপনাদের পাশেই থাকব।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হয় মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৩ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এবার মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। নির্বাচনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।