বাগেরহাট: বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে শুরু হয়েছে দুই দিনের হরতাল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি। এ কর্মসূচি চলবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ‘সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি’র নেতাকর্মীরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এবং গাছের গুড়ি ফেলে হরতাল পালন শুরু করেন।
বিএনপি গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম বলেন, ‘সর্বদলীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা হরতাল পালন করছি। আমাদের পূর্বের চারটি আসন ফেরত দিতে হবে। জেলার কমপক্ষে ২০টি স্থানে ব্যারিকেড দেওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।’
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব মো. শেখ মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, ‘আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী হরতাল চলছে। দাবি না মানা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।’
বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড়ে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান বাঘা বলেন, ‘আমরা হরতালের আওতামুক্ত যানবাহন ও শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিচ্ছি। কারও অসুবিধা হচ্ছে না।’
সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনে মিছিল শুরু হয়। সাড়ে ৮টার দিকে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মিছিল করে স্লোগান দেন। তারা বলেন, ‘চারটি আসন ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।’
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাগেরহাটের চারটি আসন কমিয়ে তিনটিতে নামানোর প্রস্তাব দেয়। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের মানুষ আন্দোলনে নামেন এবং শুনানিতেও চার আসন বহালের দাবি জানান। তবে ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন, যেখানে কেবল সীমানা পরিবর্তন করে তিন আসন বহাল রাখা হয়।
গেজেট অনুযায়ী, নতুন আসনগুলো হলো— বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
এর আগে সীমানা ছিল— বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নতুন সীমানা জনদাবিকে উপেক্ষা করেছে।