ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে একটি গোষ্ঠী নতুন নতুন বয়ান দিচ্ছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধি সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা স্বাধীনতা চায়নি, যারা শহিদ জিয়াউর রহমানের সৈনিকদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে এবং ২৪-এর আওয়ামী লীগ যারা জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে–এই দুই গণহত্যাকারী, ৫০ বছর আগে এবং ৫০ বছর পর কোথাও যেন এক হতে চাচ্ছে। তারা নানাভাবে এক হচ্ছে এবং এরা হচ্ছে অশুভ সৈনিক ও অশুভ শক্তি। এই অসভ্য শক্তির প্রকাশ্য একাংশও আছে। তারা মেনে নিতে পারছে না, ইলেকশন হলে জাতীয়তাবাদী ভালো করবে।”
দুদু স্পষ্ট করে বলেন, “কীভাবে নির্বাচন ঠেকানো যায়, তার জন্য নতুন নতুন বয়ান দিচ্ছে একটি গোষ্ঠী। কিন্তু গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বিগত সময়ে নির্বাচনের নামে ভণ্ডামি হয়েছে। যদি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন না হয়, তবে আধিপত্যবাদীরা সুযোগ পাবে।”
তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর নেতাকর্মীরা রাস্তায় লড়াই করেছে এবং শহিদ হয়েছেন। ছাত্ররাও শহিদ হয়েছেন। কিন্তু মূল বিষয় হলো–স্বৈরতন্ত্রের বিদায় এবং স্বজাতন্ত্রের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র আসে। গণতন্ত্র উত্তোলনের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই। যদি আমরা নির্বাচনের বিরোধিতা করি তাহলে স্বৈরতন্ত্রের পক্ষ হিসেবে চিহ্নিত হব। নির্বাচন নামে ভণ্ডামি করেছে শেখ হাসিনা তিনবার, আর এখন নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি এই অশুভ শক্তিকে বলব, আপনারা আপনাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি জনগণের কাছে নিয়ে যান। আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। নির্বাচন বন্ধ করলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে এবং আধিপত্যবাদী সত্যের পক্ষে যাবে।”
দুদু আরও দাবি করেন, “বর্তমানে আমরা একটি কঠিন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। দেশকে রক্ষা করতে হলে জিয়া পরিবার ছাড়া বিকল্প নেই। দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের রক্ষার জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে সবকিছুই ফয়সালা হবে।”
এ সময় দুদু ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, “ভবিষ্যতে যদি আল্লাহ চান বিএনপি ক্ষমতায় আসে এবং সৎ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান। একজন সৎ কর্মী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের জন্য যা যা করতে হবে, আমি তা করব।”