ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ছোট ভায়ের বোঁটির কোপে বড় ভাই সালাহউদ্দিন শেখ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত সালাহউদ্দিন শেখ উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের ভদ্রাসন গ্রামের সাজাহান শেখের ছেলে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের ভদ্রাসন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ দিন সকালে পারিবারিক কলহের জেরে বড় ভাইকে ধারালো বোটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ছোট ভাই আলাউদ্দিন শেখ।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সালাহউদ্দিন গত এক সপ্তাহ যাবত তার অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছিলেন। এই সুযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীররাতে সালাহউদ্দিনের স্ত্রীর শোবার ঘরে ঢুকে আলাউদ্দিন। এতে ঘরে থাকা সালাউদ্দিনের স্ত্রী ও তাদের মেয়ে টের পেয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে আলাউদ্দিন শোবার ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এই খবর শুনে পরদিন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরেন সালাহউদ্দিন। এরপর বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা নিয়ে ছোট ভাই আলাউদ্দিনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় লাঠি দিয়ে ছোট ভাইকে আঘাত করেন বড় ভাই। এতে ছোট ভাই আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো বোটি দিয়ে বড় ভাইকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশীরা জানায়, ঝগড়ার শুরু থেকেই আলাউদ্দিনের ব্যবহার উগ্র ও নেশাগ্রস্ত ছিলো। হঠাৎ মুহুর্তের মধ্যে সালাহউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে সে। এতে পেটের ভূড়ি বের হয়ে গেলে বাড়ির উঠানে কাতরাতে থাকে সে। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সালাহউদ্দিন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশরাফ হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভায়ের হাতে খুন হয় বড় ভাই। খুনের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্তের পর গ্রামের বাড়িতে লাশ আনা হবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রকৃয়াধীন রয়েছে।