জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জন্য দুই রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব বিপুল ভোটে গৃহীত হয়েছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ভোটে ১৪২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে, ১০টি দেশ বিপক্ষে এবং ১২টি দেশ বিরত থাকে। বিরোধীদের মধ্যে ছিল ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র।
ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উপস্থাপিত সাত পৃষ্ঠার ‘নিউইয়র্ক ঘোষণা’ নামের প্রস্তাবে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং কার্যকর দুই রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়।
ঘোষণায় হামাসকে সব জিম্মি মুক্তি দিতে এবং গাজায় তাদের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ সমাপ্ত করে অস্ত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ভোটের পর ইসরায়েল ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে একে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমরস্টেইন এক্সে (টুইটার) লিখেছেন, ‘এই ভোট প্রমাণ করেছে সাধারণ পরিষদ বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন একটি রাজনৈতিক সার্কাসে পরিণত হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, প্রস্তাবে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
ভোটের মাত্র এক দিন আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছিলেন, ‘কখনোই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না। একইসঙ্গে তিনি পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় সই করেন, যা ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এটি আলোচনার স্থবিরতার বিরুদ্ধে ব্যাপক চাপের বহিঃপ্রকাশ এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার একটি প্রচেষ্টা।’
ভোট চলাকালীন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে তারা গাজা সিটিতে পাঁচ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে এবং ৫০০-এর বেশি স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করেছে।