মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সাত বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গজারিয়া কলিম উল্লাহ মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম নোমান আহাম্মেদ (২১)। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মুছাগাড়া গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি গজারিয়ার চর বাউশিয়ার কলিম উল্লাহ মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ভুক্তভোগী প্রথম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী জানায়, এর আগেও নোমান আহাম্মেদ তাকে একাধিকবার অনৈতিকভাবে শারীরিক নির্যাতন করেছে। এসব ঘটনা প্রকাশ করলে খুন করার হুমকি দিতেন তিনি। শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে মাদ্রাসার ওয়াশরুমে আবারও তাকে জোরপূর্বক নির্যাতন করা হয়। কান্নাকাটি শুরু করলে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখা হয়। রাতে বাসায় গিয়ে শিক্ষার্থী বিষয়টি পরিবারকে জানায়।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, “আমরা টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে চর বাউশিয়া পশ্চিমকান্দি গ্রামে ভাড়া থাকি। আমার ছেলে শনিবার রাতে বাসায় এসে জানায় সে আর ওই মাদ্রাসায় পড়তে চায় না। বিস্তারিত জানার পর স্থানীয় গণ্যমান্যদের পরামর্শে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।”
গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে মামলা দায়ের পূর্বক জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”