নেপালে গত দুই দিনের জেন-জি বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ এ দাঁড়িয়েছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন হাসপাতাল এবং চিকিৎসা কেন্দ্রে বর্তমানে আরও ১৯১ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি যেসব ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মরদেহ উদ্ধারে তল্লাশি চলছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে কয়েক দশকের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতায় অন্তত দুই হাজার ১১৩ জন আহত হয়েছেন।
দুইদিনের এই বিক্ষোভের মধ্যে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও শপিং মলগুলোতে এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।
গত সপ্তাহের ভয়াবহ বিক্ষোভের সময় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট, পার্লামেন্ট ভবন, পুলিশের কার্যালয়সহ অসংখ্য সরকারি ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল ও তখনকার প্রধানমন্ত্রী কেমি শর্মা ওলির পারিবারিক বাড়িসহ অনেক রাজনীতিকের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছিল।
বিক্ষোভের মধ্যে পদত্যাগ করা ওলির জায়গায় এখন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই আগামী বছরের ৫ মার্চ নেপালে নতুন নির্বাচন হবে।