ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা কয়েকদিন ধরে অব্যাহতভাবে লেনদেন কমার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহে একদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন দেড় বছরের সর্বোচ্চ ১৪শ’ কোটি টাকা স্পর্শ করার পর কমতে শুরু করেছে। সোমবারও (১৫ সেপ্টেম্বর) একই ধারা বজায় ছিল। তবে দিনটিতে মৌলভিত্তি সম্পন্ন শেয়ারের চাহিদা বেশি ছিল। ফলে বেশিরভাগ কোম্পানির দর হারালেও সূচক বেড়েছে। বিশেষত: ব্যাংক খাতের দরবৃদ্ধি সূচকের পতন ঠেকাতে পারলেও বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারেনি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরেই পুঁজিবাজার ধুঁকছিল। মাঝে কয়েকদিন ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বাজারে গতি ফিরতে শুরু করেছিল। সূচকের সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছিল। গত ৭ সেপ্টেম্বর ডিএসই’র লেনদেন ১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। পরের দিন তা কমে ১৪শ’ কোটি টাকায় নেমে আসে। এ ধারাবাহিকতায় মাত্র ৬ কার্যদিবসের ব্যবধানে তা অর্ধেকের নীচে নেমে এসেছে। লেনদেনের এমন দ্রুত পতনে হতাশ বিনিয়োগকারীরা।
বাজার চিত্রে দেখা যায়, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৫ পয়েন্টে। যা আগের দিন কমেছিল ৫৫ পয়েন্ট।
সোমবার সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পর ডিএসই-তে ৭০৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর পরিমাণ গত ৭ সেপ্টেম্বর হয়েছিল ১ হাজার ৪৪১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে ৬ কার্যদিবসের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৭৩৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বা ৫১ শতাংশ।
আজ ডিএসই-তে লেনদেন হওয়া ৪০২ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১১৭টির বা ২৯.১০ শতাংশের। আর দর কমেছে ১৯৯টির বা ৪৯.৫০ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৮৬টির বা ২১.৩৯ শতাংশের।
বাজার চিত্রে দেখা যায়, সোমবার বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমলেও ব্যাংক এবং ব্লু চিপস শেয়ারের দর বেড়েছে। দর বাড়ার শীর্ষ দশের মধ্যে তিনটি ব্যাংক ছিল। শুধু তাই নয়, দুটি ব্যাংকের শেয়ারের বিক্রেতা ছিল না। বেশিরভাগ সময়ই বিক্রেতাশূন্য অবস্থায় লেনদেন করেছে কোম্পানি দুটি।
অপরদিকে সিএসই-তে সোমবার ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই-তে লেনদেন হওয়া ২১৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ১১৬টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩৩টির। এদিন সিএসই’র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৩৬৭ পয়েন্টে।
আগেরদিন সিএসই-তে ১২ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ১৬৩ পয়েন্ট কমেছিল।