Wednesday 05 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইতালিতে ভুয়া ভিসায় লোক পাঠিয়ে কোটি হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:২১ | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৩৯

গ্রেফতার মিলন মিয়া

ঢাকা: ইতালিতে লোক পাঠানোর কথা বলে প্রায় শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্রটি। প্রকৃত ভিসার বদলে তারা দিয়েছে ভুয়া ভিসা। আর এই চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রথমে লোভনীয় বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা টাকার চুক্তি করে প্রতারক চক্রটি। বেশকিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেওয়া হয় সেই চুক্তির অর্থ। এরপর ভিক্টিমকে ধরিয়ে দেওয়া হয় ভুয়া ভিসা, আবার কখনো কখনো ভিক্টিমের পাসপোর্ট আটকে হয়রানিও করা হয়। এই অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় প্রতারক চক্রের এক সদস্য মিলন মিয়াকে (৪২) ফরিদপুর শহরের চকবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ইসুবদিয়া গ্রামে।

বিজ্ঞাপন

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ইতালিতে লোক পাঠানোর কথা বলে প্রায় শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ চক্রটি। প্রকৃত ভিসার বদলে দিয়েছে ভুয়া ভিসা। চক্রটির প্রতারণালব্ধ উক্ত অর্থ বেশকিছু অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করার তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে। এছাড়া, ভুক্তভোগীদের পাসপোর্ট আটকে রেখে হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে প্রতারক চক্রটির বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মিলন মিয়ার থেকে জানা যায়, ভিজিট ভিসায় ইতালিতে লোক নেওয়ার কথা বলে ফরিদপুরের একজনের সঙ্গে ২২ লাখ টাকার চুক্তি হয়। ভিকটিমের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা অগ্রিম নেওয়া হয়। তার আরও বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। মিলন মিয়া তাদের হয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক সংগ্রহ করত। ভাগ্য বদলের আশায় যারা বিদেশে যেতে চাইতো এরকম লোকদেরকেই মূলত তারা টার্গেট করতো। ফরিদপুর, নড়াইল নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ সারাদেশের বেশ কিছু জেলায় এ প্রতারক চক্রটির নেটওয়ার্ক রয়েছে। জোসনা বেগম এবং মাহবুব নামের দুইজন ইতালি ও লিবিয়াতে লোক পাঠানোর মূল হোতা বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।

জসীম উদ্দিন, মিলন মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে সোপর্দকরণ ও রিমান্ডের আবেদনসহ পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। আর এর সঙ্গে জরিত অন্যান্যদের গ্রেফতারে সিআইডির অভিযান অব্যাহত আছে।