লালমনিরহাট: বহুল আলোচিত কুড়িগ্রাম অন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার এক যুগ পর এবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) চাকরি পেলেন তার আপন ছোট ভাই মো. আরফান হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট ১৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। আগামীকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তিনি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দেবেন।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি।
অনুষ্ঠানে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘বিজিবি সবসময় ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা আর যেন না ঘটে সে বিষয়ে আমরা সর্বদা সতর্ক। আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষে ফেলানীর ছোট ভাই মো. আরফান হোসেন একজন দক্ষ ও যোগ্য সদস্য হয়ে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার অন্তপুর সীমান্তে (ভারতের কুচবিহার সীমান্তে) বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী খাতুন। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা তার লাশের সেই হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। ন্যায়বিচারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে তার পরিবার।
ফেলানীর ছোট ভাইয়ের বিজিবিতে যোগদানকে পরিবার ও স্থানীয়রা দেখছেন নতুন স্বপ্ন পূরণের পদক্ষেপ হিসেবে। তাদের বিশ্বাস, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা বোনের অসমাপ্ত স্বপ্ন একদিন তার ছোট ভাই মো. আরফান হোসেন পূর্ণ করবে।