Friday 19 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুখোশ পড়ে সীমান্ত থেকে অস্ত্রের চালান দিত সনি হত্যাকাণ্ডের সেই মুশফিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫৫ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:০১

র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মুখোশ পড়ে সীমান্ত থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকায় চালান দিত বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যাকাণ্ডে সাজা শেষে বের হওয়া সেই মুশফিক উদ্দীন টগর (৫০)।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন।

তিনি বলেন, মুশফিক বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২৪ জুন ২০০২ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সাজাভোগের পর ২০২০ সালের আগস্টে মুক্তি পান। এরপর থেকে সীমান্ত থেকে অস্ত্র এনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতেন।

বিজ্ঞাপন

ফায়েজুল আরেফীন বলেন, তার কাছ থেকে এসব অস্ত্র কোথায় কোথায় সরবরাহ করা হতো তার তদন্ত চলছে। মুখোশ পড়ে তিনি অস্ত্র ব্যবসা করতেন বলে প্রাথমিক ধারণা।

র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, বৃহস্পতিবার রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলায়। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে ৩২ মি. মি. এর ১টি রিভলবার, ১টি ম্যাগাজিন, ১টি কাঠের পিস্তলের গ্রীপ, ১৫৫ রাউন্ড (.২২ রাইফেল), ১টি ৭.৬২ মি. মি. এর মিসফায়ার গুলি, ১টি শর্টগানের খালি কার্তুজ, ২টি মুখোশ ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অস্ত্র মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। তার বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলাও রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৮ জুন দরপত্র নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্রদল নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ক্লাস শেষে হলে ফেরার সময় সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বুয়েটের কেমিপ্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি।

সারাবাংলা/এমএইচ/এসএস

অস্ত্র চালান মুখোশ মুশফিক সনি সীমান্ত হত্যাকাণ্ড

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর