চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
সম্প্রতি চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষের পর বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রক্টরের পদত্যাগের জোরালো দাবি ওঠে। এ দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন নয় শিক্ষার্থী।
এ অবস্থায় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে নিজ থেকে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।
এর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মোতাবেক প্রদেয় ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ একবছরের জন্য প্রক্টর নিয়োগ করা হয়েছে। এ আদেশ আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর দুপর থেকে কার্যকর হবে।
অন্যদিকে বিদায়ী প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ চবি’র গবেষণা, পরিচালনা ও প্রকাশনা দফতরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আগের প্রক্টরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অধ্যাপক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে নতুন প্রক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে তিনি প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন।’
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফ প্রক্টরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। একবছরে নানা কর্মকাণ্ডে তিনি বেশ সমালোচিত হন।
গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট রাতে স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে চবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। ইসালামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ এনে চবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি করেন। প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিসহ সাত দাবিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন নয় শিক্ষার্থী। উপাচার্যের আশ্বাসে ৫২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন।
এছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ছাত্রীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যের অভিযোগে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন শিক্ষার্থীদের একাংশ।