ঢাকা: সার্ক কৃষি কেন্দ্র আয়োজিত চার দিনব্যাপী আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ‘ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও বীজের জেনেটিক বিশুদ্ধতা’ ভার্চুয়ালি শুরু হয়েছে ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) এই কর্মশালার উদ্বোধন হয়। এতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষস্থানীয় কৃষি বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকেরা অংশ নিচ্ছেন। তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন।
প্রশিক্ষণের লক্ষ্য হলো আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা এবং উদ্ভাবনী কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহিত করা, যাতে সার্কভুক্ত দেশগুলো খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষি উন্নয়নে আরও এগিয়ে যেতে পারে।
কর্মসূচির উদ্বোধনী বক্তব্যে সার্ক কৃষি কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (ফসল) ড. সিকান্দার খান প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। এ সময় ‘আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি: ধারণা, গুরুত্ব ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাপ্যতা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেক্সিকোর আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট)-এর প্রধান বিজ্ঞানী ড. ভেলু গোবিন্দন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সার্ক সচিবালয়ের (নেপাল) পরিচালক (এআরডি অ্যান্ড এসডিএফ) তানভীর আহমেদ তরফদার। তিনি বলেন, বিশ্বের জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, ফলে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের আর বিকল্প নেই। তিনি বীজের জেনেটিক বিশুদ্ধতা, পানির টেকসই ব্যবহার এবং আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি বর্তমানে মাটির অবক্ষয় ও জলবায়ুজনিত দুর্যোগের চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আধুনিক ফসল উন্নয়ন প্রযুক্তি ও মানসম্মত বীজ ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ ক্ষেত্রে ব্রি, বারি, বিনা এবং অন্যান্য কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি আরও বলেন, কৃষিক্ষেত্রে অগ্রগতি অবশ্যই টেকসই হতে হবে এবং এজন্য নির্ভুল কৃষি (প্রিসিশন এগ্রিকালচার) ও আধুনিক গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে।