ঢাকা: বিইআরসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে দাখিল করা অভিযোগ নিষ্পত্তি ছাড়া গণশুনানিতে অংশ নেবে না কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণশুনানি না করেই সরকারি কোম্পানির তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)-এর দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। গণশুনানিতে ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রমাণিত না হলেও তারা জেট ফুয়েল বিক্রিতে পদ্মা তেল কোম্পানির চার্জহার বাড়িয়েছে।
গণশুনানিতে ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রমাণিত না হলেও নতুন শিল্প ও বিদ্যমান শিল্প সম্প্রসারণে বর্ধিত গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে ও শিল্প ভোক্তাকে জ্বালানি সুবিচার থেকে বঞ্চিত করেছে বিইআরসি। সর্বোপরি জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতার বৈধ ব্যবহার না করে বিইআরসি নিজের পদের অপব্যবহার করেছে। এতে ভোক্তা স্বার্থ ও অধিকার বিপন্ন হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিইআরসি আইনের ২০০৩-এর ধারা ২২(খ) এবং ধারা ৩৪(৪) ও ৩৪(৬) লঙ্ঘন এবং ভোক্তা স্বার্থ ও অধিকার খর্ব করার অপরাধে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে স্ব-স্ব পদ থেকে ওই আইনের ধারা ১১ অনুযায়ী অপসারণ ও ৪২ ধারা অনুযায়ী শাস্তি প্রদানের জন্য ৩১ জুলাই রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইন লঙ্ঘন করে একের পর এক সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিইআরসি। অতীতের ধারাবাহিকতায় বর্তমান বিইআরসিও তা অব্যাহত রেখেছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই জ্বালানি অপরাধ প্রতিরোধ ও জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য বিইআরসি’র চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কোন গণশুনানিতে অংশ নেবে না ক্যাব। উল্লেখ্য, আগামী ৬ অক্টোবর সার শ্রেণীর গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর অনুষ্ঠিতব্য গণশুনানিতেও অংশ নেবে না ক্যাব।