সিলেট: সিলেট-৬। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনি এলাকার মধ্যে ২৩৪ নম্বর আসন এটি। সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। এই আসন নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণের একটি হলো- এই আসন থেকেই নির্বাচন করে জয়ী হন মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনামুল হক চৌধুরী (বীরবিক্রম), বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন (লেচু মিয়া) ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
তবে আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য জনগণের সমর্থন নিয়ে মাঠে নেমেছেন প্রয়াত এমপি ড. সৈয়দ মকবুল হোসেনের কন্যা সৈয়দা আদিবা হোসেন। এরই মধ্যে তাকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ শুরু হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন পেতে নির্বাচনের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের অলিগলি পর্যন্ত চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রায় প্রতিদিনই তাকে গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং হাটে-ঘাটে-বাজারে সাধারণ মানুষের পাশে দেখা যাচ্ছে।
তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও পরামর্শ গ্রহণ
গত ১৭ জুলাই লন্ডনের কিংস্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সৈয়দা আদিবা হোসেন। এ সময় তিনি সিলেট-৬ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তারেক রহমানও তাকে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এবং দলের রাজনীতিকে আরও গতিশীল করার পরামর্শ দেন। আদিবা বিএনপির এই প্রধান নেতার পরামর্শ মেনে বাবার মতোই এখন ভোটের মাঠে জনগণের পাশে থাকছেন।

সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
একজন ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন (লেচু মিয়া) ও অদম্য কন্যা আদিবা
ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ এবং এমএ পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এর পর যোগ দেন সরকারি চাকরিতে। তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকও ছিলেন। তবে এক পর্যায়ে উপসচিব পদে থাকা অবস্থায় চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু মানবসেবার ব্রত তার ভেতরে প্রোথিত ছিল। তাই তিনি ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতি শুরু করেন। লেচু মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিলেট-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯২ সালের পর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
ব্যবসা ও রাজনীতির পাশাপাশি তিনি তার জন্মস্থান আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিসাইল গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজ। এছাড়া বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার হাতে গড়া। সেইসঙ্গে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি হিসেবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন তিনি। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি সৈয়দা আদিবা হোসেন। শিক্ষানুরাগী পিতার এই মেধাবী কন্যা বাংলাদেশের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি বর্তমানে টাম্পাকো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক।
আদিবা ও তার পরিবারের সদস্যরা গোলাপগঞ্জে পাঁচটি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়া হয়। এর মধ্যে সৈয়দা আদিবা হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের (আনুমানিক ২০০২) প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেছেন। এছাড়াও তিনি গোলাপগঞ্জের ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

জনগণের মাঝে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আদিবা হোসেন ‘ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের’ উপদেষ্টা হিসেবেও আছেন। সংগঠনটি দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য কাজ করে থাকে। এমনকি এই সংগঠনের অধীনে সারা দেশে ১৪টি অবৈতনিক স্কুল রয়েছে। এছাড়া, তিনি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ‘উইমেনস সাপোর্ট গ্রুপ বিডি’র ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টরও।
এর বাইরে সৈয়দা আদিবা ঢাকা স্টোরিটেলার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি। এই সংগঠনটি বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের নিয়ে কাজ করে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সমাজসেবা ও শিক্ষা নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ হয়। সংগঠনটি ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ‘আর্ট ফর চ্যারিটি’ শিল্প প্রদর্শনীর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে তা বন্যার্তদের পুনর্বাসনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার তহবিলে দান করে।
আদিবা নতুন নতুন স্থান ও সংস্কৃতি অন্বেষণ করতে ভালোবাসেন। তিনি বিশ্বের ৪৭টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে ভ্রমণ সম্পর্কিত নিবন্ধও লিখেছেন। তিনি ঢাকা ক্লাব লিমিটেড ও বারিধারা সোসাইটির আজীবন সদস্য। আর গুলশান ক্লাব লিমিটেড ও আমেরিকান ক্লাবের স্থায়ী সদস্যও আদিবা।

জনগণের মাঝে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আরও যা করতে চান
সৈয়দা আদিবা হোসেন বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যার পাশাপাশি সিলেট-৬ আসনের জন্য তুলে ধরছেন নিজস্ব উন্নয়ন পরিকল্পনা। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, তরুণদের কর্মসংস্থান, নারী ক্ষমতায়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে তার পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, অবকাঠামো আধুনিকায়ন, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রবাসী কমিউনিটির সঙ্গে আরও শক্তিশালী যোগাযোগ তৈরি করবেন তিনি।
আদিবা হোসেন যদি বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন তাহলে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকে প্রতিষ্ঠা করবেন। এছাড়া, প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলোতে ডিজিটাল শিক্ষা ও যোগ্য তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন তিনি। প্রবাসীদের পরিবারের জন্য আলাদা সেবা ডেস্ক চালুরও পরিকল্পনা রয়েছে তার। সেইসঙ্গে আপামর জনসাধরণের মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয়ে রাজনীতির মাঠে রয়েছেন তিনি।
এলাকার জনগণ যা বলছে ও ভাবছে
লেচুকন্যা আদিবা সম্পর্কে রণকেলী নরুপাড়া ইয়ং সোসাইটি সভাপতি মজির উদ্দিন ও তরুণ সমাজ সেবক সাজু আহমদ হাসনু সারাবাংলাকে বলেন, ‘সৈয়দা আদিবা হোসেনের হাতে ধানের শীষের প্রতীক তুলে দিলে তিনি সিলেট-৬ আসনটি বিএনপিকে উপহার দেবেন। তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।’ গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তার পরিবারের কন্ট্রিবিউশনের কারণে মানুষ আদিবাকেই বেছে নেবেন বলে তাদের বিশ্বাস।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা রাবেয়া বেগম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আদিবা আপা আমাদের সাহসের প্রতিচ্ছবি। আমরা চাই তিনি এগিয়ে যান এবং নারীদের জন্য কাজ করুন।’ প্রবীণ ভোটার আসাদ উদ্দিনের ভাষায়, তিনি সৎ, শিক্ষিত ও পরিশ্রমী। এমন নেতৃত্ব পেলে এলাকার অনেক উপকার হবে।

জনসংযোগে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা যা বলছে
তৃণমূল বিএনপি নেতারা জানান, পিতার উত্তরসূরি হিসেবে রাজনীতিতে এসেছেন কন্যা সৈয়দা আদিবা। উচ্চ শিক্ষিত ও প্রগতিশীল এই নারী বাবার জনপ্রিয়তা ও নিজের রাজনৈতিক কর্মতৎপরতায় হয়ে এরই মধ্যো সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
আদিবাকে নিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান হেলাল বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, সৈয়দা আদিবা হোসেন বিএনপি পরিবারের সন্তান। উনি গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ ও বিএনপির সাবেক এমপি ড. সৈয়দ মকবুল হোসেনের কন্যা। এছাড়া, তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও সৎ মানুষ। এমনকি উনি উনার বাবার মতোই এলাকায় খুব জনপ্রিয়। আদিবা যদি বিএনপির মনোনয়নে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, অবশ্যই তিনি তার বাবার মতো মানুষের ভালোবাসা পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।’
গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের সর্বস্তরের জনগণ, ব্যবসায়ী, দিনমজুর, শ্রমিক এবং নতুন প্রজন্মের ভোটাররা মনে করে সৈয়দা আদিবা হোসেন যোগ্য প্রার্থী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি তার হাতে ধানের শীষ তুলে েদন বৃহত্তর সিলেটে বিশাল ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হবেন। এর মধ্য দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গতিশীল নেতৃত্বের যোগ্য সহকর্মী হবেন।’
যা বলছেন সৈয়দা আদিবা হোসেন
সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেন বলেন, ‘আমি গর্বিত যে, এমন একটি পরিবারে জন্মেছি, যারা সারাজীবন মানুষের কল্যাণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছে। আমার প্রয়াত পিতা ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া ছিলেন জনগণের নেতা। তিনি সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের সমস্যাকে নিজের সমস্যা হিসেবে দেখেছেন। তিনি গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। তার জীবন দর্শন ছিল- মানুষের জন্য রাজনীতি, ক্ষমতার জন্য নয়। জনগণের আস্থা ও ভালোবাসাই ছিল তার রাজনীতির মূল শক্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাবার দেখানো সততা, নিষ্ঠা ও সাহসের পথই আমার অনুপ্রেরণা। আমার স্বপ্ন হলো সিলেট-৬ আসনকে একটি উন্নত, আধুনিক ও গণতান্ত্রিক অঞ্চলে রূপান্তরিত করা। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের সঙ্গে নিয়ে ফের একটি পরিবর্তনের সূচনা করতে পারব।’

নেতৃত্বের উদ্ভাসনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
সৈয়দা আদিবা হোসেন বলেন, ‘গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের প্রতিটি নারী যেন নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারে; শিক্ষা, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারকে এগিয়ে নেওয়াই আমার লক্ষ্য। আমি চাই, এলাকা হবে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অপরাধ, হয়রানি ও মামলাবাণিজ্য মুক্ত।’ রাজনীতি তার কাছে ব্যক্তিগত লাভের বিষয় নয়, এটি জনগণের সেবার এক মহান সুযোগ বলে মনে করেন তিনি।
লেচুকন্যা বলেন, ‘আমার প্রয়াত পিতা সারাজীবন যেভাবে মানুষের পাশে থেকেছেন, আমিও সেই আদর্শকে ধারণ করে জনগণের পাশে থাকব। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের ভালোবাসা ও দোয়া থাকলে সিলেট-৬ আসন হবে নতুন সম্ভাবনার সূচনা।’
যা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নারী নেতৃত্বের উত্থান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন বার্তা এবং সৈয়দা আদিবা সেই বার্তার প্রতীক। তিনি শুধু বাবার উত্তরাধিকার বহন করছেন না, বরং নিজস্ব দক্ষতা ও প্রগতিশীল চিন্তার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করছেন।