ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি লিবিয়া থেকে অবৈধ অর্থ গ্রহণ করে নির্বাচনি প্রচার চালানোর মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। প্যারিসের ফৌজদারি আদালত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই রায় ঘোষণা করে।
আদালত জানায়, প্রয়াত লিবিয়ান নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে কোটি কোটি ইউরোর অবৈধ তহবিল নেওয়ার ষড়যন্ত্রে তিনি জড়িত ছিলেন। তবে দুর্নীতি ও অবৈধ তহবিল ব্যবহারের অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়। আদালতের রায়ে সারকোজিকে ১ লাখ ইউরো জরিমানাও করা হয়েছে।
৭০ বছর বয়সী সারকোজি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আদালতের রায়ের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তিনি নির্দোষ।’
আদালতের বিচারক নাথালি গাভারিনো জানান, সারকোজি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের লিবিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের অনুমতি দিয়েছিলেন নির্বাচনি অর্থায়নের জন্য।
২০১৩ সালে মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। এর আগে গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম অভিযোগ করেন যে, সারকোজি তার বাবার কাছ থেকে কোটি কোটি ইউরো নিয়েছিলেন।
এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লদ গ্যুয়ান্ত ও ব্রিস অর্তেফ্যুও অভিযুক্ত হন। গ্যুয়ান্তকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং অর্তেফ্যুকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের দায়ে দণ্ডিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সারকোজি এর আগেও একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ২০২১ সালে তিনি বিচারককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টায় দণ্ডিত হন এবং ফ্রান্সের ইতিহাসে প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে কারাদণ্ড পান। এছাড়া ২০২৪ সালে নির্বাচনি প্রচারণার ব্যয় অতিরিক্ত দেখানোর অভিযোগে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।